১. যৌন জননের একক কি?
উত্তর: যৌন জননের একক গ্যামেট
২. যৌন জনন কোন কোষ বিভাজন পদ্ধতিতে ঘটে?
উত্তর: মিয়োসিস কোষ বিভাজন পদ্ধতিতে ঘটে।
৩. অযৌন জননের একক কি?
উত্তর: অযৌন জননের একক হল রেনু।
৪. অযৌন জনন কোন কোষ বিভাজন পদ্ধতিতে ঘটে?
উত্তর: অযৌন জনন মাইটোসিস কোষ বিভাজন পদ্ধতিতে ঘটে।
৫. দ্বিবিভাজন পদ্ধতিতে কে অযৌন জনন সম্পন্ন করে?
উত্তর: অ্যামিবা।
৬. বহুবিভাজন কার দেখা যায়?
উত্তর: প্লাসমোডিয়াম এর দেখা যায়।
৭. খন্ডীভবন ঘটে এমন একটি উদ্ভিদের নাম?
উত্তর: স্পাইরোগাইরা
৮. ইস্ট কোন পদ্ধতিতে অযৌন জনন সম্পন্ন করে?
উত্তর: কোরকোদগম পদ্ধতিতে।
৯. হাইড্রা কিসের সাহায্যে বংশবিস্তার করে?
উত্তর: স্ফুটন এর সাহায্যে।
১০. টরুলা দশা কার দেখা যায়?
উত্তর: ইস্ট এর দেখা
১১. পেনিসিলিয়াম কিসের সাহায্যে অযৌন জনন সম্পন্ন করে?
উত্তর: কনিডিয়ার সাহায্যে ।
১২. গেমিউল গঠন এর মাধ্যমে কে বংশবিস্তার করে?
উত্তর: স্পঞ্জ।
১৩. রেনু উৎপাদন এর মাধ্যমে কারা অযৌন জনন সম্পন্ন করে?
উত্তর: ছত্রাক , মস, ফার্ন।
১৪. সংশ্লেষ বা কনজুগেশন পদ্ধতিতে কারা যৌন জনন সম্পন্ন করে?
উত্তর: স্পাইরোগাইরা ও প্যারামেসিয়াম।
১৫. বহিঃনিষেক কার দেখা যায়?
উত্তর: মাছ ও ব্যাঙের।
১৬. অর্ধবায়ব কান্ডের দ্বারা অঙ্গজ জনন করে এমন একটি উদ্ভিদের নাম?
উত্তর: কচুরিপানা।
১৭. পত্রজ মুকুল দ্বারা কে বংশবিস্তার করে?
উত্তর: পাথরকুচি।
১৮. বুলবিল এর দ্বারা জনন সম্পন্ন করে কে?
উত্তর: চুপড়ি আলু।
১৯. পেঁয়াজের পরিবর্তিত কান্ড কে কি বলে?
উত্তর: বালব বলে।
২০. ভূনিম্নস্থ কান্ডের সাহায্যে বংশবিস্তার করে কে?
উত্তর: আলু।
২১. পুংগ্যামেট ও স্ত্রী গ্যামেটের মিলনকে কী বলে?
উত্তর: নিষেক বলে।
২২. আদা কিসের সাহায্যে জনন করে?
উত্তর: রাইজোম এর সাহায্যে।
২৩. একটি কৃত্রিম অঙ্গজ জনন পদ্ধতির নাম লেখ।
উত্তর: শাখাকলম বা কাটিং।
২৪. গোলাপ কিসের সাহায্যে বংশবিস্তার করে?
উত্তর: শাখা কলম এর সাহায্যে।
২৫. স্টক ও সিয়ন কোন ধরনের কৃত্রিম অঙ্গজ জননে ব্যবহৃত হয়?
উত্তর: জোড় কলম বা গ্রাফটিং।
২৬. জুস্পোর কোন উদ্ভিদে দেখা যায়?
উত্তর: ক্ল্যামাইডোমোনাস উদ্ভিদে।
২৭. কোন প্রাণীতে সুস্পষ্ট জনুক্রম দেখা যায়?
উত্তর: প্যারামেসিয়াম।
২৮. গ্রাফটিং নির্বাচিত উন্নত বৈশিষ্ট্যযুক্ত উদ্ভিদ শাখাকে কি বলে?
উত্তর: সিয়ন বলে।
২৯. লার্ভার যৌন জননকে কি বলে?
উত্তর: পিডোজেনেসিস।
৩০. একটি অন্তনিষেক কারী মেরুদন্ডী প্রাণীর উদাহরণ দাও।
উত্তর: মানুষ।
৩১. অপুংজনি কার দেখা যায়?
উত্তর: পুরুষ মৌমাছি ও বোলতা।
সপুষ্পক উদ্ভিদের যৌন জনন
১. সপুষ্পক উদ্ভিদের জনন অঙ্গের নাম কি?
উত্তর: ফুল।
২. দুটি একলিঙ্গ ফুলের উদাহরণ দাও।
উত্তর: লাউ, কুমড়ো।
৩. একটি উভলিঙ্গ ফুলের উদাহরণ দাও।
উত্তর: জবা।
৪. দুটি বায়ু পরাগী ফুলের উদাহরণ দাও।
উত্তর: ধান ও গম।
৫. দুটি জল পরাগী ফুলের উদাহরণ দাও।
উত্তর: পাতাঝাঁঝি ও পাতাশ্যাওলা।
৬. দুটি পতঙ্গ পরাগী ফুলের উদাহরণ দাও।
উত্তর: আম ,সূর্যমুখী।
৭. দুটি পক্ষী পরাগী ফুলের উদাহরণ দাও।
উত্তর: পলাশ ও শিমুল।
৮. পরাগরেণু উৎপন্ন হয় কোথায়?
উত্তর: পরাগধানীতে।
৯. নিষেকের পর ডিম্বকটি কি গঠন করে?
উত্তর: বীজ গঠন করে।
১০. নিষেকের পর ডিম্বাশয় কি গঠন করে?
উত্তর: ফল গঠন করেন।
১১. ডিম্বাণু কোথায় উৎপন্ন হয়?
উত্তর: গর্ভাশয়স্থিত ডিম্বকের মধ্যে।
১২. ইতর পরাগযোগ ঘটে এমন একটি একলিঙ্গ ফুলের নাম লেখ।
উত্তর: পেঁপে।
১৩. পুংগ্যামেট ও স্ত্রী গ্যামেটের মিলনের কি গঠিত হয়?
উত্তর: জাইগোট গঠিত হয়।
১৪. ডিম্বাণু নিষেকের পর কিসে পরিণত হয়?
উত্তর: ভ্রূণে।
১৫. দ্বিনিষেক পদ্ধতি কোথায় দেখা যায়?
উত্তর: গুপ্তবীজী উদ্ভিদে।
১৬. পদ্মফুলে কি জাতীয় পরাগযোগ দেখা যায়?
উত্তর: এন্টোমোফিলি।
১৭. কোন পরাগযোগে বাহকের একান্ত প্রয়োজন?
উত্তর: ইতর পরাগযোগ।
১৮. ইতরপরাগযোগ কোন ফুলে দেখা যায়?
উত্তর: একলিঙ্গ ফুলে।
১৯. স্ট্যামিনোড কি?
উত্তর: নিষ্ক্রিয় এবং পরাগধানী বিহীন পুংকেশর কে স্ট্যামিনোড বলে।
২০. একটি আদর্শ ফুলের কয়টি স্তবক ও কি কি?
উত্তর: একটি আদর্শ ফুলের চারটি স্তবক-
১. বৃতি ২. দলমন্ডল ৩. পুংস্তবক ৪. স্ত্রী স্তবক.
২১. একলিঙ্গ ফুল কাকে বলে ? উদাহরণ দাও।
উত্তর: যে ফুলে পুংস্তবক ও স্ত্রী স্তবক এর মধ্যে যেকোনো একটি উপস্থিত থাকে ,তাকে একলিঙ্গ ফুল বলে।
উদাহরণ: লাউ, কুমড়ো।
২২. সম্পূর্ণ ফুল কাকে বলে ? উদাহরণ দাও।
উত্তর: যে ফুলে চারটি স্তবক অর্থাৎ বৃতি ,দলমন্ডল, পুংস্তবক ও স্ত্রী স্তবক বর্তমান তাকে সম্পূর্ণ ফুল বলে।
উদাহরণ: জবা ও ধুতরা।
বংশগতি
১.বংশগতি কাকে বলে?
* যে প্রক্রিয়ায় জিনের মাধ্যমে জনিতৃর চারিত্রিক
বৈশিষ্ট্যগুলি বংশপরম্পরায় অপত্য এর মধ্যে সঞ্চারিত হয় ও প্রকাশ পায় তাকে বংশগতি বলে।
2. বংশগতির জনক কাকে বলা হয়?
উত্তর: গ্রেগর জোহান মেন্ডেল কে বংশগতির জনক বলা হয়।
৩. মেন্ডেলকে বংশগতির জনক বলা হয় কেন?
উত্তর: আধুনিককালে বংশগতির সংক্রান্ত যেসব তথ্য ও তত্ত্ব আবিষ্কৃত হয়েছে সেগুলি মেন্ডেল আবিষ্কৃত মৌলিক সূত্র গুলির উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠায় মেন্ডেলকে বংশগতির জনক বলা হয়।
৪. মেন্ডেল বাদ কাকে বলে ?
উত্তর: মেন্ডেলের আবিষ্কৃত বংশগতির মৌলিক সূত্র গুলি কে এক কথায় মেন্ডেল বাদ বলে ।
৫. অ্যালিল কী?
উত্তর : সমসংস্থ ক্রোমোজোমের একই লোকাসে অবস্থিত পরস্পর বিপরীত ধর্মী বৈশিষ্ট্যের জোড়াকে অ্যালিল বলে ।
৬. লোকাস কী?
উত্তর : ক্রোমোজোমের উপর যে স্থানে কোন জিন অবস্থান করে সেই স্থানটিকে লোকাস বলে।
৭. বংশগতির গঠনগত বা কার্যগত একক কী?
উত্তর: বংশগতির গঠনগত বা কার্যগত একক হল জিন।
৮. মিউটেশন কী?
উত্তর: কোন প্রজাতিভুক্ত জীবের বংশানুক্রমিকভাবে জীব কোষের মধ্যে সঞ্চারণ যোগ্য জিনের যে আকস্মিক পরিবর্তন ঘটে তাকে মিউটেশন বলে।
৯. জেনেটিক কোড কী?
উত্তর: প্রোটিন অনু গঠন কালে অ্যামাইনো অ্যাসিড এর সংকেত লিপিকে জেনেটিক কোড বলে।
১০. প্রকট বলতে কী বোঝো?
উত্তর: দুটি বিশুদ্ধ বিপরীত বৈশিষ্ট্যযুক্ত জীবের সংকরায়নের উৎপন্ন প্রকাশিত বৈশিষ্ট্যকে প্রকট বলে।
১১. প্রচ্ছন্ন বলতে কী বোঝো?
উত্তর: দুটি বিশুদ্ধ বিপরীত বৈশিষ্ট্যযুক্ত জীবের সংকরায়নে উৎপন্ন অপ্রকাশিত বৈশিষ্ট্যকে প্রচ্ছন্ন বলে।
১২. ইমাসকুলেশন কী?
উত্তর: উভলিঙ্গ ফুলের পুংকেশরগুলিকে বাদ দেওয়ার পদ্ধতিকে ইমাসকুলেশন বলা হয়।
১৩. জেনেটিক কোড কে আবিষ্কার করেন?
উত্তর : জেনেটিক কোড আবিষ্কার করেন ডক্টর হরগোবিন্দ খোরানা ।
১৪. জিন শব্দটি কে প্রথম ব্যবহার করেন?
উত্তর: জিন শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন বিজ্ঞানী জোহানসেন।
১৫. পরীক্ষার জন্য মেন্ডেল মটর গাছ নির্বাচন করেছিলেন কেন?
উত্তর: ১. মটর গাছ সহজলভ্য এবং অতি সহজে বাগানে চাষ করা যায়।
২ . মটর গাছ বর্ষজীবী , ফলে জীবনচক্র দ্রুত শেষ হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে কয়েক পুরুষের উপর পরীক্ষানিরীক্ষা করা যায়।
৩. বংশপরম্পরায় নির্দিষ্ট চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য যুক্ত বিশুদ্ধ অপত্য উদ্ভিদ সৃষ্টি সম্ভব।
৪. স্বপরাগী হওয়ায় বাইরের কোনো অবাঞ্ছিত বৈশিষ্ট্য সংমিশ্রনের সম্ভাবনা নেই।
১৬. মেন্ডেলের সাফল্য লাভের কারণ কী?
উত্তর: ১. মটর গাছের সাত জোড়া বিপরীত বৈশিষ্ট্য অর্থাৎ 14 টি বৈশিষ্ট্যের প্রতিটি আলাদা ক্রোমোজোমে অবস্থান করে।
২. পরীক্ষার সময় তিনি একটি বা দুটি নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য নিয়ে পরীক্ষা শুরু করেন।
৩. একই চরিত্রের বিপরীত বৈশিষ্ট্য নিয়ে পরীক্ষা শুরু করেন।
৪. পরীক্ষা দ্বারা গাণিতিক ফল ব্যক্ত করেন।
১৭. ফিনোটাইপ কী?
উত্তর: জীবের প্রকাশিত বাহ্যিক বৈশিষ্ট্যকে ফিনোটাইপ বলে।
১৮. একসংকর জনন কাকে বলে?
উত্তর: একই প্রজাতির দুটি জীবের একজোড়া বিপরীতধর্মী বৈশিষ্ট্য নিয়ে সংকরায়ন ঘটানোকে একসংকর জনন বলে।
১৯. মেন্ডেল একসংকর জনন থেকে প্রথম কোন সূত্রটি উপস্থাপন করেন?
উত্তর: পৃথকীভবন এর সূত্রটি উপস্থাপন করেন।
২০. দ্বিসংকর জনন কাকে বলে?
উত্তর: একই প্রজাতির দুটি জীবের দুই জোড়া বিপরীত ধর্মী বৈশিষ্ট্য নিয়ে সংকরায়ন ঘটানোকে দ্বিসংকর জনন বলে।
২১ মেন্ডেলের দ্বিসংকর জনন থেকে প্রাপ্ত সূত্রটির নাম কী?
উত্তর: মেন্ডেলের দ্বি সংকর জনন থেকে প্রাপ্ত সূত্রটি হল স্বাধীনবিন্যাসের সূত্র।
২২. অসম্পূর্ণ প্রকটতা কাকে বলে?
উত্তর: সংকর জীবে যে ধর্মের প্রভাবে প্রকট জিনটি প্রচ্ছন্ন জিনের সাপেক্ষে সম্পূর্ণরূপে প্রকট না হয়ে প্রকট ও প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্যের মধ্যবর্তী একটি মিশ্র ফিনোটাইপের প্রকাশ ঘটায়, তাকে অসম্পূর্ণ প্রকটতা বলে
উদাহরণ: সন্ধ্যামালতী, স্নাপড্রাগণ।
২৩. মেন্ডেলের একসংকর জনন পরীক্ষার ফিনোটাইপ অনুপাত কত?
উত্তর: মেন্ডেলের একসংকর জনন পরীক্ষার ফিনোটাইপ অনুপাত হল ৩:১।
২৪ .মেন্ডলের প্রথম সূত্রের ব্যতিক্রম টি কী?
উত্তর: মেন্ডেলের প্রথম সূত্রের ব্যতিক্রম টি হল অসম্পূর্ণ প্রকটতা।
২৫. Tt এর ফিনোটাইপ কি হবে?
উত্তর: দীর্ঘ বা লম্বা ।
২৬. হোলানড্রিক জিন কী?
উত্তর: পুরুষদের Y ক্রোমোজোমে অবস্থিত প্রকট জিন থাকলে তা উত্তরাধিকারসূত্রে পুত্রদের মধ্যে সঞ্চারিত হয় এই ধরনের জিনকে হোলানড্রিক জিন বল।
উদাহরণ: পুরুষদের কানের লোম।
২৭. মানুষের লিঙ্গ নির্ধারক ক্রোমোজোম কোনগুলি?
উত্তর: মানুষের লিঙ্গ নির্ধারক ক্রোমোজোমগুলি হল-
১. পুরুষদের ক্ষেত্রে X ও Y ক্রোমোজোম বা XY
২. স্ত্রী দেহের ক্ষেত্রে দুটি X ক্রোমোজোম বা XX
২৮. মেন্ডেলের মটর গাছের দ্বিসংকর জনন পরীক্ষার ফিনোটাইপ অনুপাত কত?
উত্তর: মেন্ডেলের মটর গাছের দ্বিসংকর জনন পরীক্ষা ফিনোটাইপ অনুপাত হল ৯: ৩:৩:১
২৯. ব্যাক ক্রস কী?
উত্তর: অপত্য বংশীয় কোন জীবের সঙ্গে জনিতৃ জনুর কোন জীবের সংকরায়নের পদ্ধতিকে ব্যাক ক্রস বলে।
৩০. চেকার বোর্ড কী?
উত্তর: বংশগতিবিদ্যা প্রচলিত ও সুবিধাজনক যে বর্গাকার ছকের মাধ্যমে সংকরায়ন পরীক্ষার সমস্ত ফলাফল লেখা হয় ও বিশ্লেষণ করা হয়, তাকে চেকার বোর্ড বলে।
৩১. কোন বিজ্ঞানী সর্বপ্রথম চেকার বোর্ড পদ্ধতি ব্যবহার করেন?
উত্তর: বিজ্ঞানী আর . সি . পানেট সর্বপ্রথম চেকার বোর্ড পদ্ধতি ব্যবহার করেন।
৩২. মানুষের দেহে কতগুলো ক্রোমোজোম থাকে?
উত্তর: মানুষের দেহে ক্রোমোজোমের সংখ্যা 46 টি।
৩৩. লিঙ্গ নির্ধারণে পিতার ভূমিকা লেখ।
উত্তর: পুত্র ও কন্যা সন্তান সৃষ্টি হওয়ার পিছনে পিতার ভূমিকাই প্রধান। কারণ পিতার সেক্স ক্রোমোজোম X ও Y প্রকারের। যেহেতু মাতার সেক্স ক্রোমোজোম XX প্রকারের, তাই তাদের এক ধরনের গ্যামেট X তৈরি হয়। অপরপক্ষে, পিতার দু ধরনের গ্যামেট X ও Y তৈরি হয়। যখন পিতার X গ্যামেট মাতার X গ্যামেটের সঙ্গে মিলিত হয়, তখন কন্যা সন্তান সৃষ্টি হয়। আবার পিতার Y গ্যামেট যখন মাতার X গ্যামেটের সঙ্গে মিলিত হয়, তখন পুত্র সন্তান সৃষ্টি হয়। অতএব সহজে বলা যায় যে, পুত্র কন্যা সন্তান সৃষ্টিতে পিতার ভূমিকাই প্রধান।
৩৪. বংশগতি ও প্রকরণ সংক্রান্ত আলোচনা ও অধ্যয়ন কে কী বলে?
উত্তর: জেনেটিক্স বলে।
৩৫. কানের লতি কয় প্রকার ও কী কী?
উত্তর: কানের লতি দুই প্রকার।
১. যুক্ত কানের লতি।
২. মুক্ত কানের লতি।
৩৬. প্রকরণ কাকে বলে?
উত্তর: জিনের মাধ্যমে বা পরিবেশের প্রভাব জনিত কারণে একই প্রজাতিভুক্ত জীবদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের যে পার্থক্য লক্ষ্য করা যায় তাকে ভেদ বা প্রকরণ বলে।
৩৭. মেন্ডেলের দ্বিতীয় সূত্রের ব্যতিক্রম টি কী?
উত্তর: মেন্ডেলের দ্বিতীয় সূত্রের ব্যতিক্রম টি হল লিংকেজ।
৩৮. লিংকেজ কী?
উত্তর: একটি ক্রোমোজোম এ উপস্থিত জিনগুলির একসঙ্গে সঞ্চারিত হওয়ার প্রবণতাকে লিংকেজ বলে।
৩৯. মিউল্যাটো কী?
উত্তর: শ্বেতকায় ও কৃষ্ণকায় স্ত্রী পুরুষের মিলনে উৎপন্ন মাঝারি রঙের ত্বক যুক্ত সন্তানদের মিউল্যাটো বলে।
৪০. ইউজেনিক্স কী?
উত্তর: জেনেটিক্সে যে শাখায় মানব জাতির কল্যাণ ও উন্নতির জন্য জেনেটিক্স এর বিভিন্ন তথ্যকে প্রয়োগ করা হয়, তাকে ইউজেনিক্স বলে।
৪১. সংকরায়ন কাকে বলে?
উত্তর: একই প্রজাতিভুক্ত বিপরীতধর্মী বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন দুটি জীবের মিলন ঘটানোকে সংকরায়ন বলে।
কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ
১. জিনগত রোগ বলতে কী বোঝো?
উত্তর: ক্রোমোজোমের সংখ্যাগত বা গঠনগত পরিবর্তনের ফলে যে সমস্ত অস্বাভাবিক লক্ষণযুক্ত বংশগত রোগ সৃষ্টি হয় ,তাদের জিনগত রোগ বলে।
২. থ্যালাসেমিয়া কাকে বলে?
উত্তর: অটোজোম এ অবস্থিত প্রচ্ছন্ন পরিব্যক্ত একক জিনের কারণে সৃষ্ট যে রোগে মানুষের দেহে হিমোগ্লোবিন উৎপাদন ত্রুটিযুক্ত হয় ও লোহিত কণিকা দ্রুত ভেঙে যাওয়ায় হিমোলাইটিক অ্যানিমিয়া সৃষ্টি হয়, তাকে থ্যালাসেমিয়া বলে।
৩. থ্যালাসেমিয়া রোগের লক্ষণগুলি লেখ।
উত্তর: ১. এই রোগের প্রধান লক্ষণ হলো হিমোগ্লোবিন উৎপাদনের ত্রুটি এবং রক্তাল্পতা।
২. এছাড়া হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যাওয়ায় লোহিতকণিকার আকার ছোট হয়ে যায়।
৩. অস্থি দুর্বল ও বিকৃত হয়।
৪. কালচে বর্ণের মুত্র উৎপন্ন হয়।
৪. মানুষের অটোজোমাল জিন বাহিত দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
উত্তর: টাক পড়া ও জিভ রোল করার ক্ষমতা।
৫. মানুষের X ক্রোমোজোমাল জিন বাহিত দুটি রোগের নাম লেখ।
উত্তর: বর্ণান্ধতা ও হিমোফিলিয়া।
৬. কত নম্বর ক্রোমোজোমের মিউটেশনের ফলে বিটা থ্যালাসেমিয়া হয়?
উত্তর: 11 নম্বর।
৭. হিমোফিলিয়া কি?
উত্তর: মানুষের X ক্রোমোজোম জিন সংঘটিত এমন একটি রোগ যাতে দেহের কোন স্থানে কেটে গেলে বা ক্ষত সৃষ্টি হলে তা থেকে রক্তক্ষরণ বন্ধ হয় না বা রক্ত তঞ্চিত হয় না তাকে হিমোফিলিয়া বলে।
৮. হিমোফিলিয়া রোগের লক্ষণ টি লেখ।
উত্তর: হিমোফিলিয়া একটি বংশগত রোগ। এই রোগে আঘাতপ্রাপ্ত স্থান থেকে অবিরাম রক্তক্ষরণ হতে থাকে রক্ত তঞ্চন হয় না।
৯. কে প্রথম হিমোফিলিয়া রোগটি আবিষ্কার করেন?
উত্তর: বিজ্ঞানী John Otto
১০. কোন রোগের জন্য বিবাহের পূর্বে জেনেটিক কাউন্সেলিং করতে হয়?
উত্তর: থ্যালাসেমিয়া।
১১. বর্ণান্ধতা কাকে বলে?
উত্তর: কোন মানুষ যখন লাল সবুজ বর্ণের পার্থক্য বুঝতে পারে না কিংবা বর্ণ চিনতে ভুল করে তাকে বর্ণান্ধ বলে এবং এই প্রকার অস্বাভাবিকতাকে বর্ণান্ধতা বলে।
১২. বর্ণান্ধতা রোগের কারণ লেখ।
উত্তর: বর্ণান্ধতা X ক্রোমোজোম এ অবস্থিত একটি জিনের মিউটেশনের জন্য হয়।
১৩. লাল রঙের বর্ণান্ধতা কে কি বলে?
উত্তর: প্রোটানোপিয়া বলে।
১৪. কোন হিমোফিলিয়া কে রাজকীয় হিমোফিলিয়া বলে?
উত্তর: হিমোফিলিয়া A ।
১৫. মেডিটেরিয়ান অ্যানিমিয়ার অপর নাম কি?
উত্তর: থ্যালাসেমিয়া মেজর।
১৬. নীল বর্ণান্ধতার জন্য দায়ী ক্রোমোজোম টি কি?
উত্তর: সাত নম্বর অটোজোম।
১৭. বর্ণান্ধতা রোগের লক্ষণ টি লেখ।
উত্তর: লাল সবুজ বর্ণ চিনতে না পারা বা লাল সবুজ বর্ণ দেখতে না পাওয়া।
১৮. কোন হিমোফিলিয়াকে ক্রিসমাস ডিজিজ বলে?
উত্তর: হিমোফিলিয়া B ।
১৯. থ্যালাসেমিয়াকে ভূমধ্যসাগরীয় রক্তাল্পতা বলে কেন?
উত্তর: থ্যালাসেমিয়া রোগটি ভূমধ্যসাগরীয় মূলত ইতালি, গ্রীস অঞ্চলের অধিবাসীদের মধ্যে প্রথম দেখা গিয়েছিল এজন্য একে ভূমধ্যসাগরীয় রক্তাল্পতা বলে।
২০. থ্যালাসেমিয়া মাইনর এর লক্ষণ কি?
উত্তর: যকৃত ও প্লীহা বড় হয়।
২১. সবুজ বর্ণান্ধতা কে কি বলে?
উত্তর: ডিউটেরানোপিয়া।
২২. হিমোফিলিয়া A রক্ত তঞ্চন এর কোন ফ্যাক্টর এর অভাবে হয়?
উত্তর: ফ্যাক্টর V I I I এর অভাবে হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন